এক মাসের মাথায় ইউক্রেন যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি

দলে দলে দেশ ছাড়ছে ইউক্রেনবাসী।

ছবির উৎস,GETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,

দলে দলে দেশ ছাড়ছে ইউক্রেনবাসী।

পশ্চিমা দেশগুলোর স্বার্থপরতার দিকটি তুলে ধরেছেন ফেসবুকে আমাদের একজন ফলোয়ার তৌহিদ আহমেদ:

পশ্চিমারা মধ্যপ্রাচ্যকে যে নরক বানিয়ে রেখেছে আর সেই নরক যন্ত্রণা সহ্য করছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। মধ্যপ্রাচ্যের সুন্দর শান্তির দেশগুলোকে ধ্বংস করে দিয়েছে শুধুমাত্র খনিজ সম্পদের লোভে। ওরা আর্তনাদ করছে যুগের পর যুগ ধরে। মানবতার দাবীদার কি শুধু পশ্চিমারা?

ইউক্রেন যুদ্ধে শান্তি আলোচনা নিয়ে লিখেছেন খুলনার কপিলমুনি থেকে মো. শিমুল বিল্লাল বাপ্পী:

বিবিসি বাংলার কাছে জানতে চাই বিশ্বের অনেক দেশ রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিরসনে কূটনৈতিক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। পরাশক্তি কোন রাষ্ট্র কি এই সংকট নিরসনে কূটনৈতিক আলোচনা করছে? আমরা সামরিক হামলা শুরু হবার পর থেকে শুনছি কূটনৈতিক আলোচনা চলছে। কিন্তু আলোচনার কোন অগ্রগতি কি হয়েছে?

আপনি ঠিকই বলেছেন মি. বিল্লাল। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার শুরুর প্রথম দিন থেকেই আমারা দেখেছি বহু দেশ - সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, ইসরায়েল এমনকি ভারতও এই যুদ্ধ থামানোর জন্য মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছে। তুরস্ক মুখোমুখি বৈঠকেরও আয়োজন করেছে। কিন্তু কোন কিছুতেই কোন ফল হয়নি। এই সেদিনও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সরাসরি কথা বলার জন্য রুশ প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে সাড়া মেলেনি এখনও।

আমাদের এক ফেসবুক ফলোয়ার এনামুল হক ইউক্রেনের সঙ্কটকে বিশ্লেষণ করেছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন আলোকে:

একজন কমেডিয়ানের সাফল্য হাততালি অর্জন। জেলেনস্কি আগে হাততালি পেতেন দর্শকদের কাছ থেকে। আর এখন পান পশ্চিমা পার্লামেন্টে। জেলেনস্কি একজন কমেডিয়ান হিসেবে সফল, কিন্তু রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নয়। পশ্চিমা যুদ্ধবাজ নেতাদের হাততালি, বাহবা, বীরের খেতাব জেলেনস্কিকে তালপাতার সিপাইয়ে পরিণত করেছে।

এছাড়াও তারা যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করে এবং শক্ত প্রতিরোধ, রাশিয়ার দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, রাশিয়ার সেনাদের রসদ ফুরিয়ে গিয়েছে -- এইসব অপপ্রচার করে যুদ্ধকে আরো উসকে দিচ্ছে।

এই ফাঁদে পা দিয়ে ইউক্রেনের জনগণ ও সেনাবাহিনী রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়ে ইউক্রেনের হারানো ক্রাইমিয়া এবং ডনবাস অঞ্চল ফিরে পেতে মরিয়া হয়ে উঠছে। এই অসম্ভব চাওয়াকে পূর্ণতা দিতে গিয়ে ইউক্রেন আজ ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে।

ইউক্রেনের এক নিহত যোদ্ধার জন্য শোক করছেন স্বজনেরা।

ছবির উৎস,GETTY IMAGES

ছবির ক্যাপশান,


মি. জেলেনস্কির জন্য এটা যে বিপজ্জনক খেলা, তাতে কোন সন্দেহ নেই মি. হক। তিনি পশ্চিমা বিশ্বকে এই যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলার চেষ্টা বেশ কয়েকবারই করেছেন। কিন্তু তাতে সফল হননি। বিশেষভাবে ইউক্রেনের আকাশে নো ফ্লাই জোন বা বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে তিনি নেটোর সমর্থনও আদায় করতে পারেননি।

অন্যদিকে, রাশিয়া ঝড়ের গতিতে এসে পুরো ইউক্রেন দখল করে ফেলবে বলে যা মনে করা হচ্ছিল, তা কিন্তু এখনও ঘটেনি। ফলে অন্তত এখন পর্যন্ত মি. জেলেনস্কি এবং মি. পুতিন -- দু'জনের জন্যই