সাবরীন জাফর

এসেছে ফাগুন লেগেছে আগুন মনে

সু-মধুর কুহুতানে ডেকেছে কোকিল বনে

ফুটেছে ফুল ডালে -ডালে

শিমুল বকুল পলাশ কৃষ্ণচূড়া লালে -লালে

সেজেছে বসুন্ধরা নব জাগরণে

মর্মর পাতার শব্দে জানিয়ে দেয়

-যে বসন্ত এসে গেছে।

ওগো দখিনা মলয় আজি তব পরশনে

তুমি নেই পাশে এই মধু ক্ষনে,

ভ্রমরী গুঞ্জন কোকিলের কুহুতান মুহুয়া সমীরণ -

কানে -কানে গুনগুন সুরে 'লে যায় ;

-যে বসন্ত এসে গেছে।

হলুদ গাঁদা সর্ষের মাঠ জুড়ে বয়ে যায় ঘ্রাণ

হৃদয় ভরে আসে ভালোবাসা খুঁজে মন-প্রাণ

বাতায়নে দাঁড়িয়ে আমি নিঃসঙ্গ একাকি

পূর্নিমার আলোয় রাত পাহারায় চাঁদ ;

হাত বাড়িয়ে দেখি জল্পনায় ছবি আঁকি

তাঁরা গুলো জোনাকির সাথে মিলে চুপিসারে 'লে যায় কানে-কানে-

-যে বসন্ত এসে গেছে।

মাতাল হাওয়ায় উড়ে

এলোমেলো চুল

বসন্তের আগমনে হয়ে যাক কিছু ভুল।

উদাসী মন হয়েছে ব্যকুল;

গেঁথে দিও কানে-খোপায় বকুল,

শিমুলের মালা আর রাঙা পলাশ ফুল

বাসন্তী আর নীলাম্বরী শাড়িতে

বড় আকুলতায় পথ চেয়ে রই,

চাতকিনী আমি অতৃপ্ত আকাঙ্খায়

-মধু ক্ষনে তুমি কই?

মৌমাছি কুসুম কাননে মধু আহরোণে,

'লে যায় চুপিসারে কানে -কানে-

-যে বসন্ত এসে গেছে।

ছন্দে তালে আনন্দে

সৌরভ সৌন্দর্যে স্নিগ্ধ মনোলোভা,

দিগন্তে সূর্যের রঙিন আভা;

মন ছুঁয়ে যায় কোন অজানাতে

ময়ূর মেলেছে পাখা প্রজাপতি সাত রং মাখা,

পরাগায়নে ফুলের রেণু মিলায় সুবাসে

উড়ে -উড়ে চুপিসারে 'লে যায় কানে-কানে -

-যে বসন্ত এসে গেছে।

শিশিরে শিশিরে ঢেকেছে পথ ঘাট

কচুপাতা চুইয়ে গড়িয়ে পড়ে টুপটাপ।

উষ্ণ রোদে ঝিলমিল করে-

মিশে যায় হঠাৎ।

প্রকৃতির জাগতিক অপার মোহ মায়া,

সব কিছু ঘিরে খুঁজে ফিরি তোমার ছায়া।

স্মৃতি গুলো চুপিসারে বলে যায় কানে -কানে-

-যে বসন্ত এসে গেছে।

মনের সাগরে উঠছে ঝড় উথাল- পাথাল ঢেউ

পুড়ছে বুক উড়ছে সুখ ভাসছে তোমার মুখ;

যার ব্যথায় অচেতন জানেনা' তো সে-ও।

স্বপ্নেররা চুপিসারে 'লে যায় কানে -কানে -

-যে বসন্ত এসে গেছে

পাখিরা উড়ছে মনের সুখে গায়ছে

নব পল্লবে পাতায়- পাতায় শাখে -শাকে

কে যেনো নিরবে উঁকি দিয়ে যায় মৃদুমন্দ গুঞ্জরনে,

উচাটন মন আনচান উথলা কিসের তরে হৃদয় বাঁকে?

কুলকুল সুরে নদী, ব্যথা 'লে মোহানারে,

নিশ্চুপ স্রোতশ্রেনী ইশারায় বলে যায় ;

-যে বসন্ত এসে গেছে

তাং-১৪/০২/২০২২ইং